ইংল্যান্ড ক্রিকেটে গডফাদার বলে পরিচিত তিনি। তার হাত ধরে ইংল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেছে ১২৫ জনেরও বেশি ক্রিকেটার। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলার সুযোগ পেয়েছেন হাজারেরও বেশি ক্রিকেটার। সেই ডেভিড ইংলিশ গতকাল ৭৬ বছর বয়সে হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন।
মেলবোর্নের ফাইনালে মহান এই ইংলিশ কিংবদন্তীকে শ্রদ্ধা জানাবেন জস বাটলারের দল। মাঠে নামবে ব্লাক আর্মব্যান্ড পরে।
এদিকে ১৯৯২ হাতছানি দিচ্ছে পাকিস্তানকে। তবে ইতিহাসের বদলা নিতে সেরা প্রস্তুতিটাই নিয়ে রেখেছেন জস বাটলার। ম্যাচের আগের দিন বাটলার জানিয়েছেন ফাইনালের জন্য কতটা রোমাঞ্চিত তিনি।
বাটলার বলেন, ‘যেকোনো সময়ই বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলার সুযোগ পাওয়া একটা বিরাট সম্মানের ব্যাপার। দলের সবাই ফাইনাল নিয়ে বেশ রোমাঞ্চিত। আগের ম্যাচের পারফরম্যান্স আমাদেরকে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। তবে কালকের (আজ) ম্যাচে এর কোনো অর্থই নেই। আমরা সম্পূর্ণ নতুন একটা ম্যাচ খেলবে নামব খুবই শক্তিশালী এক প্রতিপক্ষের সঙ্গে। আর সব সময়ই আপনি যখন কোনো ট্রফির জন্য লড়াই করবেন, তা সহজ হবে না মোটেও। ’ ফাইনালের আগে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এভাবেই বললেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার।
সেমিফাইনালে বাটলার (৮০) আর অ্যালেক্স হেলসের (৮৬) দুরন্ত ব্যাটিংয়ে ভারতকে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ইংলিশরা। তবে সেমিফাইনাল ম্যাচের কথা ভুলে কেবল ফাইনাল নিয়েই ভাবছে তারা।
অন্যদিকে পাকিস্তান অধিনায়ক বাবার আজম ফাইনাল ঘিরে কিছুটা নার্ভাস হলেও তার থেকে অনেক বেশি উচ্ছ্বসিত।
বাবার বলেন, ‘আমি নার্ভাসের চেয়ে বেশি উচ্ছ্বসিত। অবশ্যই চাপ আছে। এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তবে আত্মবিশ্বাস ও বিশ্বাসের মাধ্যমে এই চাপকে অতিক্রম করা সম্ভব। আর ভালো ফল পেতে হলে আপনাকে এটা করতেই হবে। ইংল্যান্ড খুবই প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ দল। ভারতকে ১০ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে আসাটা সেটারই প্রমাণ দেয়। আমরা বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচ হেরেছিলাম। সেখান থেকে আমরা ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষ চার ম্যাচ জিতে ফাইনালে এসেছি। আমরাও কিন্তু ভালো পারফরম্যান্স করেছি।